নিষিদ্ধ ঘোষণার পর রাতে ছাত্রলীগের মিছিল ভোরেই ঝটিকা অভিযানে সরব
রাজধানীতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ঝটিকা মিছিল পরিচালনা করেছে
ঢাকায় নিষিদ্ধ ঘোষণার পরদিন ভোরে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ধানমন্ডি এলাকায় এই মিছিল হয়, যাতে অংশ নেন সংগঠনের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী।
মিছিলটি স্কয়ার হাসপাতাল থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি ৩২, শুক্রাবাদ ও সোবহানবাগ মোড় ঘুরে আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এসে শেষ হয়।
এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান জনি, সহ-সভাপতি ওয়ালিউল সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেকসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
এদিকে, বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে সরকার "সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯" অনুযায়ী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনটি বিগত কয়েক বছরে হত্যা, নির্যাতন, টেন্ডারবাজি, সিট বাণিজ্য, ধর্ষণ ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।বুধবার রাতে সরকারী গেজেটে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অভিযোগে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার পরে ভোরে রাজধানীতে ছাত্রলীগের একটি ঝটিকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী ধানমন্ডি এলাকায় এ মিছিল করেন। স্কয়ার হাসপাতাল থেকে মিছিল শুরু হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর হয়ে শুক্রাবাদ ও সোবহানবাগ মোড় ঘুরে শেষ হয়।
এ মিছিলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান জনি, সহ-সভাপতি ওয়ালিউল সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিবসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতা অংশ নেন।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়, স্বাধীনতার পর থেকে বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে ছাত্রলীগ বিভিন্ন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য এবং আদালতের প্রমাণ অনুযায়ী, সংগঠনের নেতাকর্মীরা হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণে বহু নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটায়। সংগঠনটি সরকার পতনের পরও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সরকার 'সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯' এর আওতায় ছাত্রলীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।